Homeমাইক্রোসফট এক্সেলস্প্রেডশিট এ আমার হিসাব নিকাশ

স্প্রেডশিট এ আমার হিসাব নিকাশ

আমরা ইতি পূর্বে জেনেছি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে। এই পোস্টের মাধেমে আমরা জানতে পারবো মাইক্রোসফট এক্সল বা স্প্রেডশিট এ আমার হিসাব নিকাশ ইত্যাদি।

স্প্রেডশীট ব্যবহার করে আপনি আপনার হিসাব নিকাশ করতে পারেন। নিচে একটি স্প্রেডশীট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা আপনার কাজে লাগতে পারে।

স্প্রেডশীটে হিসাব নিকাশ শুরু করতে আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবেঃ

১. স্প্রেডশীট খুলুন।

২. আপনি নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারেন বা একটি মতামত লিখতে পারেন আপনার কাজের নাম দিয়ে।

৩. আপনার হিসাব নিকাশের জন্য আপনি টেবিল তৈরি করতে পারেন। স্প্রেডশীটে একটি টেবিল তৈরি করতে আপনাকে হাইলাইট করতে হবে যে এলাকার সমস্ত সেলগুলি আপনি টেবিল হিসেবে ব্যবহার করতে চান। এরপর হাইলাইট করা সেলে যান৷

৪. সেল মান এডিট করার জন্য একটি সেল নির্বাচন করুন এবং সেলে মান লিখুন। আপনি প্রতিটি সেলে একটি মান লিখতে পারেন।

স্প্রেডশিট এ আমার হিসাব নিকাশ, হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে একটি নাম হলো স্প্রেডশিট। স্প্রেডশিট শব্দটির অর্থ হল ছড়ানো পাতা। গ্রাফ কাগজের ন্যায় অক্ষ এবং অক্ষ বরাবর খোপ খোপ ঘরের ন্যায় অনেক ঘর সংবলিত বড় শিটকে স্প্রেডশিট বলে।

কম্পিউটারে ব্যবহৃত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম হচ্ছে- মাইক্রোসফট এক্সেল, লোটাস ১-২-৩, কোয়াট্রোপ্রো, মাল্টিপ্ল্যান, সুপার ক্যাল্ক ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়ি হলো মাইক্রোসফট এক্সেল। মাইক্রোসফট এক্সেলের সুবিশাল স্প্রেডশিটে বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা যায় এবং গাণিতিক পরিগণনা করা যায়।

মাইক্রোসফট এক্সেল পরিচিতিঃ

মাইক্রোসফট এক্সেল একটি প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার যা দিয়ে স্প্রেডশিটের কাজ করা হয়। উইন্ডোজবিত্তিক এ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সাহায্যে অনেক জটিল গাণিতিক গণনা, তথ্য উপাস্থপনা করা যায়।

একটি এক্সেল ফাইলের যে অংশে কাজ করা হয় তাকে ওয়ার্কশীট বলে। ওয়ার্কশীটে গ্রাফ কাগজের ন্যায় অনেক সেল থাকে। উপরের ফটোতে দেখানো হয়েছে, স্প্রেপশিটটি কতগুলো সারি ও কলামে বিভক্ত। কলামের নাম গুলো সাধারণত ইংরেজি অক্ষর A,B,C এবং সারিগুলো ইংরেজি নাম্বার 1,2,3 দিয়ে চিহিুত করা। সারি ও কলামের পরস্পর ছেদ করে যে ঘরগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোকে সেল বলা হয়। প্রত্যেকটি সেলের একটি নাম আছে। একটি সেলের নাম প্রথমে কলামের নাম ও পরে সারির সংখ্যা দিয়ে লেখা হয়। যেমনঃ A1, C12 ইত্যাদি। নিচে এক্সেল শিটের বিভিন্ন অংশগুলোর নাম দেওয়া হলঃ

  1. সারিঃ ভূমির সমান্তরালভাবে থাকে। ইংরেজি নাম্বার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
  2. কলামঃ ভূমির সাথে লম্ব বরাবর থাকে। ইংরেজি অক্ষর A,B,C ইত্যাদি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
  3. সেলঃ সারি ও কলামের ছেদের ফলে সৃষ্ট আয়াতকার ঘর। প্রত্যেকটি ঘরের আলাদা আলাদা নাম আছে। নামগুলো কলামের নাম ও সারির সমন্বয়ে তৈরি হয়। যেমনঃ A5, B5.
  4. একটিভ সেলঃ যে সেলে কাজ করা হয় সাধারণত সেটি মোটা বর্ডার দ্বারা চিহ্নিত করা থাকে।
  5. লেবেলঃ সাধারণত টেক্সট বা অক্ষর দিয়ে লেখা হয়।
  6. নেম বক্সঃ উপরের দিকের বাম দিকে অ্যাক্টিভ সেলের নাম দেখা যায়। এটিকে নেম বক্স বলে।
  7. ফর্মূলা বারঃ গাণিতিক হিসাব নিকাশের জন্য কলাম হেডিং এর উপরে ফর্মূলা বার রয়েছে। ফর্মূলা বা লেখা ফর্মূলা বারে এডিট বা সম্পাদনা করা যায়

স্প্রেডশিট বিশ্লেষণের বৈশিষ্ট্যঃ

  1. বিভিন্ন রকমের সংখ্যা বা অক্ষরভিত্তিক উপত্ত নিয়ে কাজ করা যায়।
  2. যে কোনো ধরনের হিসাবের জন্য সুবিধাজনক।
  3. বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেশন করা যায়।
  4. বিভিন্ন ফর্মূলা বা ফাংশন ব্যবহার করে সহজে উপাত্ত বিশ্লেষণ করা যায়।
  5. আকর্ষণীয় গ্রাফ, চার্ট ব্যবহার করে উপাত্ত উপস্থাপন করা যায়।
  6. তথ্যকে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

Most Popular