Homeতথ্য ও যাগাযোগতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার

তথ্য প্রযুক্তিতে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার হল একটি প্রযুক্তি যেখানে বিভিন্ন ধরণের মাধ্যমে তথ্য প্রকাশ করা হয়। মাল্টিমিডিয়া হল একটি বিশেষ ধরণের তথ্য প্রকাশ যা সাধারণত বর্ণনা, চিত্র, অডিও এবং ভিডিও এর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়।

তথ্য প্রযুক্তিতে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করা হয় নানা উদ্দেশ্যে, যেমন শিক্ষার জন্য ভিডিও টিউটোরিয়াল, অভিজ্ঞতা ভাগ করার জন্য সিমুলেশন, ব্যবসা বাণিজ্যিক ব্যবসার জন্য প্রযুক্তিগত প্রদর্শন, ফিল্ম ও প্রচার বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।

মাল্টিমিডিয়া তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা সাধারণত একটি দুইটি উদাহরণ উল্লেখযোগ্য –

ইন্টারনেট সংযোগ – ইন্টারনেট ব্যবহার করে একটি প্রস্তুতিশীল উদ্যোগ হল ভিডিও সংযোগ। এটি একটি জাদুকরী উপায় যা ব্যবহারকারীদের জন্য

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহের নানান দিক উন্মোচিত হচ্ছে।

  • শিক্ষার উপকরণ হিসেবেঃ শিক্ষার উপকরণ হিসেবে বর্তমানে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার ব্যাপক। শ্রেনিকক্ষগুলো মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার হলে শিক্ষার্থী সহজে বিষয়টি বুঝতে পারবে। শিক্ষক শিক্ষণীয় বিষয়টি মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে সহজে উপস্থাপন করতে পারেন। এছাড়া রয়েছে মার্টিমিডিয়ার সফটওয়্যার।
  • মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যারঃ বাংলাদেশে মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার প্রস্তুত হওয়া কেবল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ-৭১, অবসর, বিশ্বকোষ, নামাজ শিক্ষা, বিজয় শিশু শিক্ষা- এমন কয়েকটি সিডিতে মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানে প্রকৃত ইন্টারঅ্যাকটিভিটি একনো নেই বললেই চলে। অবশ্য আশা করা হচ্ছে একুশ শতকে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরি হবেই।
  • ডিজিটাল প্রকাশনাঃ আমাদের প্রকাশনা এখনো কাগজনির্ভর। তবে একুশ শতক অবশ্যই ডিজিটাল প্রকাশনার শতক হবে বাংলাদেশেও।
  • বিনোদনঃ বিনোদনের অধিকাংশ এলাকায় মাল্টিমিডিয়া জুড়ে রয়েছে। সিনেমা বা নাটকের ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করে আরও প্রাণবন্ত করা হচ্ছে।
  • বিজ্ঞাপনঃ বিজ্ঞাপনে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের ফলে অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে তা উপস্থাপনা করা সম্ভব হচ্ছে। সম্ভব- অসম্ভব অনেক কিছুই দেখানো যাচ্ছে।
  • গেমসঃ কম্পিউটার গেমস বা ভিডিও গেমগুলোতে  মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার ব্যাপক। গেমস গুলোতে মার্টিমিডিয়া ব্যবহারের ফলে প্রকৃত অর্থে বাস্তবতা ছোঁয়া পেতে শুরু করেছে।
  •  এনিমেশনঃ এনিমেশনও এক ধরণের গ্রাফিক্স বা চিত্র। তবে সেটি চলমান বা স্থির হতে পারে। এটি দ্বিমাত্রিক বা ত্রিমাত্রিক হতে পারে। আমাদের দেশে এনিমেশনের ব্যবহার ক্রমশ ব্যাপক হচ্ছে। বিশেষত বিজ্ঞাপন চিত্রে এনিমেশন কখনোই কেবল একক মিডিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। এর সাথে অডিও, ভিডিও, টেক্সট, গ্রাফিক্স ইত্যাদি সম্পর্ক রয়েছে।

যিনি টেক্সট, গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও, এনিমেশন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন তিনিই মাল্টিমিডিয়ার কনটেন্টস ডেবেলপার। এই কাজটি করার জন্য এডোবি ফটোশপ থেকে থ্রিডি স্টডিও ম্যাক্স বা মায়া ইত্যাদি অনেক সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষিত বিবেচনা করে আমরা তাদেরকেই মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামার অথবা মাল্টিমিডিয়া অথর বলবো যারা এসব মিডিয়া ব্যবহার করে একটি ইন্টার অ্যাকটিভ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করবেন। বস্তুত কনটেন্টস ডেভেলপ করা ও ইন্টার অ্যাকটিভ যোগ করার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। এডবি প্রিমিয়ার বা এডবি ফটোসপ এমন সফটওয়্যার, যা দিয়ে একটি চমৎকার কনটেন্টস তৈরি করা যায়। কিন্তু আমরা মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরির প্রোগ্রাম বলবো ডিরেক্টরকে, যার সাহায্যে প্রিমিয়ার বা ফটোশপে তৈরি করা মিডিয়াগুলোকে মিলিয়ে একটি ইন্টার অ্যাকটিভ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়।

এখানে ইন্টার অ্যাকটিভ সম্পর্কে একটি কথা জানা আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন। মাইক্রসফট ওয়ার্ডে একটি স্টাইল প্রয়োগ করলে যদি অক্ষর গুলো সুন্দর করে স্ত্রল বা ফ্লাস করে বা যদি ভিডিও ফাইলে একটি ইফেক্ট যোগ করা হয় কিংবা এনিমেশন করলে যদি কিছু একটা পরিবর্তন হয় তাকে ইন্টার অ্যাকটিভ বলা ঠিক হবে না। ফ্লাশ, ডিরেক্টর বা অথরওয়্যার- এর মতো শক্তিশালী অথরিং সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি ব্যবহারকারীর সাথে কম্পিউটারের মিথস্ত্রিয়া সম্ভব এমন কিছুকেই আমরা ইন্টার অ্যাকটিভ বলব।

আগামি দিনগুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামারের চাহিদা এবং সংখ্যা কোনোটাই কম হবে না। একটি বিষয় এখন সকলকেই বুঝতে হবে যে, বিজনেস সফটওয়্যার ও সার্ভিসেস- এর পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টস ডেভেলপ করা ও প্রোগ্রামিং করতে পারা লোকের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

Most Popular