Homeমাইক্রোসফট ওয়ার্ডওয়ার্ড প্রসেসরের সাহায্যে লেখার কাজ

ওয়ার্ড প্রসেসরের সাহায্যে লেখার কাজ

ওয়ার্ড প্রসেসর হল একটি সফটওয়্যার যা মাইক্রোসফট কর্পোরেশন দ্বারা উন্মুক্ত করা হয়েছে। এটি একটি টেক্সট প্রসেসর যা লেখা, সম্পাদনা, ফরমেটিং, স্পেলিং চেক এবং বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

লেখার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করার কিছু পদক্ষেপ নিম্নলিখিতঃ

  1. সফটওয়্যারটি খুলুন এবং নতুন একটি ডকুমেন্ট তৈরি করুন।
  2. ডকুমেন্টে লিখুন যা আপনি লিখতে চান।
  3. লেখার সাথে সাথে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে একটি লেখা লেখার ব্যপারে আপনি অনেক সুযোগ পাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, লেখার ফন্ট স্টাইল, আকার, স্পেসিং এবং সংখ্যা বিন্যাস সেট করা যায়।
  4. যখন আপনি লেখা শেষ করবেন, আপনি ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে পারেন।

ওয়ার্ড প্রসেসর একটি ব্যবহারকারী বন্ধুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার যা আপনাকে লেখার কাজে সহায়তা করতে পারে। কিছু উপযোগী কাজগুলো নিম্নরূপঃ

১। ডকুমেন্ট তৈরি করুন: ওয়ার্ড প্রসেসর দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের ফন্ট, স্টাইল এবং সাজসজ্জা দিয়ে একটি ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারেন। আপনি একটি নতুন ফাইল তৈরি করতে পারেন বা ইমপোর্ট করতে পারেন আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষিত কোন ফাইল।

২। ফরমেটিং এবং এডিটিং: আপনি ডকুমেন্টে পাঠ্য প্রবেশ করিয়ে তার পাশাপাশি ফরমেটিং করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি পাঠ্য স্থানে রং এবং স্টাইল পরিবর্তন করতে পারেন, টেক্সট অংশগুলি আকার দিয়ে পরিবর্তন করতে পারেন, টেক্সট লাইন এবং অধিক পরিবর্তন করতে পারেন।

ওয়ার্ড প্রসেসরের সাহায্যে লেখার কাজ, মানুসের মনের ভাব প্রকাশ করার একটা মাধ্যম হলো লেখালেখি করা। আমাদের প্রয়োজনে আমাদেরকে নানারকমরে লেখালেখি করতে হয়। হতে পারে সেটা গল্প, কবিতা, উপন্যাস লেখা। লেখালেখি ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রকমের ছোট-বড় হিসাব করতে হয়। বাসাভাড়ার হিসাব, বাজারের হিসাব, পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত ইত্যাদি।

আমাদের লেখালেখি ও হিসাবের এ কাজগুলো করার জন্য এক সময় কষ্টসাধ্য ছিলো। কিন্তু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে এ কাজ গুলো করার জন্য এখন আমাদের হাতের নাগালে রয়েছে অনেক ধরণের সফটওয়্যার। ওয়ার্ড প্রসেসরের সাহায্যে লেখার এসব সফটওয়্যারকে বলা হয় অফিস সফটওয়্যার। আমাদের ডেস্কটপ, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনে এ সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা যায়। লেখালেখির জন্য রয়েছে ওয়ার্ড প্রসেসর আর হিসাবের জন্য রয়েছে স্প্রেডশিট এনালাইসিস সফটওয়্যার। এগুলো সম্পর্কে তোমরা পূর্ববতী পোষ্ট গলোতে প্রাথমিক ধারণা পেয়েছ। এ পোষ্টে তোমরা এগুলো সম্পর্কে কিছু অগ্রসর ধারণা পাবে।

ওয়ার্ড প্রসেসরের সুবিধাঃ

মানুষ তার কল্পনাকে অন্যের কাছে তুলে ধরতে মাধ্যম হিসেবে লেখার কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে লেখার এ কাজটি করার জন্য ওযার্ড প্রসেসর এর গুরুত্ব অনেক। ওযার্ড প্রসেসর কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ

  • নির্ভুলভাবে লেখালেখির কাজ করা এবং ভুল হলে সংশোধনের সুযোগ পাওয়া।
  • সম্পাদনার সুযোগ থাকায় নান্দনিকভাবে মনের ভাব উপস্থাপনা করা।
  • লেখাকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যায়। যেমনঃ লেখার আকার ছোট-বড় করা, লেখাকে রঙ্গিন করা ইত্যাদি।
  • পুরো লেখা প্রথম থেকে শুরু না করে নতুন লেখাকে প্রবেশ করানো, লেখা মুছে ফেলা বা লেখাকে পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ পাওয়া যায়।
  • ছবি, গ্রাফ, টেবিল, টার্চ ইত্যাদি সংযোজন করে ডকুমেন্টকে আরো আকর্ষণীয় করা যায়।
  • ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করে তা যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়। ওয়ার্ড প্রসেসরের সাহায্যে ফলে একই কাজ বারবার করার প্রয়োজন হয় না।
  • প্রয়োজনবোধে দরকারি তথ্য এক ডকুমেন্ট হতে আন্য ডকুমেন্টে কপি করা যায়।
  • একই সাথে একাধিক ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করা যায়।
  • ফাইন্ড-রিপ্লেস কমান্ড ব্যবহার করে বড় কোনো ডকুমেন্টে অল্প সময়ে শব্দ খোঁজা যায় এবং প্রতিস্থাপন করা যায়।
  • যখন কোনো ডকুমেন্ট বারবার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তখন সেটিকে টেমপ্লেট আকারে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে সময় সাশ্রয় হয়।
  • বড় আকারের ডকুমেন্ট যেমন গবেষণাপত্রে বিষয়বস্তুর সারণি, রেফারেন্স ইত্যাদি আনেক কাজ খুবই স্বল্প সময়ে সম্পাদন করা যায়।
  • বানান দেখার সফটওয়্যার বা স্পেল চেকার-এর সাহায্যে সহজেই বানান সংশোধন করা যায়।
  • ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করে তা যেকোনো সময়, যতবার ইচ্ছা ততবার প্রিন্ট করার সুবিধা রয়েছে।
  • ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যেকোনো সময় ডকুমেন্ট প্রেরণ করা যায়।
  • কাগজের নথি বা ফাইলের পরিবর্তে ওয়ার্ড পসেসরে তৈরি ফাইল খুব সহজেই সংরক্ষণ করা যায়।
  • ফাইলের ব্যবস্থাপনা সহজ যা আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনায় অপরিহার্য, ইত্যাদি।

এছাড়াও ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার গুলোতে আরও নানা সুবিধা রয়েছে। আমরা এই গুলো ব্যবহার করার সময় অনেক কিছু জানতে পারব। এত সব সুবিধার কারণে প্রতিদিন এর ব্যবহার কারির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

আমরা জানি মাইক্রোসফট অফিস হলো পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের আফিস সফটওয়্যার রয়েছে। এত সব সফটওয়্যার এর মধ্যে বাংলাদেশে মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারটি বেশি ব্যবহৃত হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

Most Popular